দেহে অনুপ্রবেশকারী জীবাণু বা কোনো অবাঞ্চিত বহিরাগত পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য মানুষের রক্তের সিরামে উৎপন্ন বিশেষ এক ধরনের প্রোটিনকে অ্যান্টিবডি বলে।
সর্বপ্রথম অ্যান্টিবডি শব্দটি জার্মান বিজ্ঞানী Paul Ehrlich উদ্ভাবন করেন। এটির আণবিক ওজন ১,৫০,০০০-৯,০০,০০ ডাল্টন। অ্যান্টিবডির আণবিক ওজনকে kDa (কিলোডাল্টন) এককে লেখা হয়। প্লাজমা প্রোটিনের প্রায় ২০% জুড়ে রয়েছে ইমিউনোগ্লোবিউলিন। তিনটি ডাইসালফাইড বন্ড নিয়ে এটি গঠিত।
অ্যান্টিবডির প্রকারভেদ এবং কাজ
প্রকারভেদ | শতকরা হার (%) | অবস্থান | কাজ ও বৈশিষ্ট্য |
IgG |
75 | রক্ত, লসিকা, অস্ত্র, দুধ, লালারস, দেহের সকল ধরনের তরল পদার্থে পাওয়া যায়। |
|
IgA |
10-15% | অশ্রু, লালা, পরিপাক রস, শ্বসন তরল, রক্ত, লসিকা, পরিপাকতন্ত্র, জনন ও শ্বসনতন্ত্রে এবং মায়ের শাল দুধে পাওয়া যায়। |
|
IgM |
5-10% | রক্ত, লসিকা, B কোষের উপরিতল। |
|
IgD |
0.2%/ <1 |
রক্ত, লসিকা ও B-লিম্ফোসাইটের উপরিতলে। |
|
IgE |
0.1% | B কোষ, মাষ্টকোষ, বেসোফিল। |
|
আরো জানুন,
র্যাম ও রমের মধ্যে পার্থক্য (Difference between RAM and ROM)
Psychology (মনোবিজ্ঞান) নিয়ে অনার্স করা কেমন সিদ্ধান্ত : সাবজেক্ট রিভিউ