ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাদের স্কিমে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে যেমন চাল,ডাল, পেঁয়াজ, রসুন,ময়দা,তেল ইত্যাদি স্বল্প মূল্যে দিয়ে থাকে। পূর্বে এটি সকল সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল কিন্তু বর্তমানে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ভোগ্যপণ্য স্বল্প মূল্যে বিতরণ করে থাকে। আজকের এই পোস্টে জানবো টিসিবি কার্ড করার নিয়ম ।
টিসিবি কার্ড করার নিয়ম ২০২৪
১.স্থানীয় প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ: আপনার এলাকার মেম্বার/চেয়ারম্যান/মেয়র/কাউন্সিলর এর সাথে যোগাযোগ করুন। তারপর টিসিবি কাডের আবেদন জন্য আবেদন করুন।
২.প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: টিসিবি কার্ডের জন্য আপনার কিছু কাগজপত্র অবশ্যই লাগবে তা হলো –
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- আপনার পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বাৎসরিক আয়ের সনদ
- আপনার মোবাইল নাম্বার
৩.যাচাই -বাছাই: আপনার প্রদত্ত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে যদি মনে হয় আপনি টিসিবি কার্ডের জন্য উপযুক্ত তাহলে আপনার কার্ড অনুমোদন হবে।
৪. কার্ড সংগ্রহ : আপনার দেয়া ফোন নাম্বার sms এর মাধ্যমে কার্ড বিতরণের স্থান, তারিখ ও কোড জানিয়ে দেয়া । আপনি গিয়ে কার্ডটি সংগ্রহ করবেন।
মনে রাখবেন,টিসিবি কার্ড সম্পন্ন ফ্রিতে প্রদান করা এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার অর্থ গ্রহণ করা হয় না। কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন থেকে বিরত থাকুন।
আরো জানুন,
বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের নাম,আয়তন, জনসংখ্যা এবং ওয়ার্ড
টিসিবি কার্ডের সুবিধা
- কমদামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে পাওয়া যায়।
- নির্দিষ্ট সময়ে ডিলারের নিকট থেকে জিনিসপত্র সংগ্রহ করা যায়।
- সরাসরি সরকারি সুবিধা পাওয়া যায়।
টিসিবি কার্ড সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- একটি পরিবারের জন্য একটি কার্ড বরাদ্দ থাকে একাধিক কার্ড করা সম্ভব নয়।
- নির্দিষ্ট সময় পর কার্ডটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে আবার মেয়াদ বাড়ানোও সম্ভব ।
- কার্ডে দেয়া আপনার তথ্যগুলো অত্যন্ত গোপনীয় বিষয় এগুলো কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
- নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এই সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে সুতরাং এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এটার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে থাকে তাদের থেকে বিরত থাকুন।
- কার্ডের জন্য কোন প্রকার অর্থ সরকার নিয়ে থাকে না।