ডর্টমুন্ড ট্যালেন্ট তৈরির কারখানা কেন?

ডর্টমুন্ড ট্যালেন্ট তৈরির কারখানা কেন?
ডর্টমুন্ড ট্যালেন্ট তৈরির কারখানা কেন?

 

বেলিংহ্যামকে কিনতে ডর্টমুন্ডের খরচ ৩০ মিলিয়ন, আর মাদ্রিদের কাছে বিক্রি করেছে ১০৩ মিলিয়নে।হালান্ড, জাদন সাঞ্চো প্রত্যেকের কাহিনী প্রায় একই।কিন্তু ডর্টমুন্ড কেন এতো প্লেয়ার ডেভেলপ করতে সেরা? রহস্য কি? এই প্রশ্ন অনেকের মনে।

ডর্টমুন্ড কিভাবে ইয়াং স্টার তৈরি করে 

আসলে, সবচেয়ে বড় ব্যাপার গেইম টাইম।ডর্টমুন্ড সাইন করানোর সময়ই নিশ্চয়তা দেয় তুমি প্রতিটা ম্যাচের স্টার্টিং ইলেভেনে থাকবা।চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচ খেলার সময় তোমাকে আমরা বেঞ্চ করবো না।এই জিনিস মাদ্রিদ, বার্সা বা বায়ার্ন কেউই পারবে না।একটা ১৭ বছরের ছেলে জয়েন করার সময়ই জানে, পরের তিন বছরের মধ্যে সে প্রায় ১০০ লীগ ম্যাচ আর ২৫ টা চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা পেয়ে যাবে।২০ বছরের মধ্যে সে একটা পরিনত খেলোয়াড়, যার জন্য টপ ক্লাবগুলা হা করে থাকবে।এমন সুযোগ উপেক্ষা করাই কঠিন।

ডর্টমুনন্ডের স্কাউটিং

ডর্টমুনন্ডের প্রথম ধাপ স্কাউটিংঞ।ওরা খোজেই ১৬-১৯ বছরের রেড হট ট্যালেন্টগুলা।পুরা ইউরোপ জুড়ে এই বয়সের সেরা ট্যালেন্ট খুজতে থাকে। তবে এইটাই সব শেষ কথা না।কারন এই কাজতো সবাই করে।

হালান্ডকে সাইন করানোর সময়ই অনেকগুলা বড় ক্লাব উঠে পড়ে লাগছিলো।এরপরেও মাদ্রিদ, বার্সা, ইউনাইটেড বা বায়ার্নের মতো টপ ক্লাবগুলারে টপকে কিভাবে একটা ইয়াং ট্যালেন্টকে কনভিন্স করে ডর্টমুন্ডে যোগ দিতে?এমনকি বড় ক্লাবগুলার একাডেমির প্লেয়ারকেও নিয়ে আসে হুটহাট।

বড় ক্লাবগুলা ইয়াং প্লেয়ারদের যথেষ্ট প্লেয়িং টাইম দিতে পারে না।কারন,এদের প্রতি বছরই ট্রফি জেতার প্রেসার থাকে।প্রুভেন প্লেয়ার ছাড়া কাউকে সুযোগ দেয়া তাদের জন্য কঠিন।এই জায়গাতেই ডর্টমুন্ড অনন্য।তারা একটা ইয়াং প্লেয়ারকে যথেষ্ট প্লেয়িং টাইমের নিশ্চয়তা দেয়, সাথে তাকে ডেভেলপমেন্টের নিশ্চয়তা এবং প্রোজেক্টের সেন্ট্রাল পয়েন্ট বানানো।এর সাথে যুক্ত হয় সাফল্যের সাথে প্লেয়ার ডেভেলপ করার ইতিহাস।একই সাথে ডর্টমুন্ড একটা সেলিং ক্লাব।কোন প্লেয়ার বড় ক্লাবে যাইতে চাইলে তারা আটাকায় না, ভালো দাম পেলে ছেড়ে দেয়।

ডর্টমুনন্ডের ফ্যানবেজ

এতো সব কিছুর বাইরে আরেকটা ম্যাসিভ পয়েন্ট আছে, যেটা অনেকেই ইভালুয়েট করতে পারে না, সেটা হইলো ফ্যান বেইজ।ভন এইচম্যান এখানে প্রসেসটা জানাইছে,”কোন প্লেয়ারকে যখন সাইন করানোর সম্ভাবনা তৈরি হয় তখন তাকে একটা ম্যাচ দেখার জন্য স্টেডিয়ামে আমন্ত্রন জানানো হয়।এবং এই স্টেডিয়াম আর ফ্যানবেইজের সাপোর্ট দেখার পর প্রতি প্লেয়ারের উপরেই পজিটিভ ইম্প্যাক্ট দেখা যায়। তারা এমন ফ্যান বেইজের সেলিব্রেশনের কেন্দ্রবিন্দু হইতে চায়।তাছাড়া, সারা দুনিয়া জানে ডর্টমুন্ডের হলুদ দেয়াল কতো স্পেশাল।”

আরো পড়ুন:বিশ্বকাপ ফুটবলে গোল্ডেন বুট বিজয়ীদের তালিকা ২০২২-১৯৮২

ডর্টমুন্ড ট্যালেন্ট তৈরির কারখানা কেন? পোস্টটি সংগ্রহ করা হয়েছে একটি লেখনি থেকে ধন্যবাদ জানাই পোস্টদাতাকে

Leave a Comment