অনেক সময় আমাদের প্রয়োজনে তাগিদে বা প্রয়োজনীয় বাজেটের অভাবে সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরানো কিনতে বাধ্য হয়ে থাকি । অনেক সময় এসব ফোন কিনে আমরা ঠকে যায় এবং প্রতারিত হয়। এজন্য আজকে আমরা আলোচনা করব পুরানো ফোন কেনার আগে ১০টি করণীয় বিষয় ।

১.ফোনটি নিয়ে রিসার্চ করুন
সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন কেনার আগে মডেল, এর বৈশিষ্ট্য এবং সাধারণ সমস্যা নিয়ে কিছু গবেষণা করুন। যদি আপনার কেউ পরিচিত কাঙ্ক্ষিত ফোন ব্যবহার করে বা করেছিল তার থেকে তথ্য নিন এটি আপনাকে একটি জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে এবং অপ্রীতিকর বিস্ময় এড়াতে সহায়তা করবে।
২.বাজেট সেট করুন
আপনি একটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কতটা ব্যয় করতে ইচ্ছুক তা নির্ধারণ করুন এবং আপনার বাজেটের সাথে লেগে থাকুন। এটি আপনাকে অতিরিক্ত খরচ করা এবং পরে আপনার ক্রয়ের জন্য অনুশোচনা এড়াতে সহায়তা করবে।
৩.IMEI নম্বর চেক করুন
প্রতিটি মোবাইল ফোনের একটি অনন্য IMEI নম্বর থাকে, যা আপনি এটির সত্যতা এবং এটি হারিয়ে বা চুরি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে ব্যবহার করতে পারেন৷
৪.ফোনের হার্ডওয়ার চেক করুন
একটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পরিদর্শন করার সময়, কোনও শারীরিক ক্ষতি যেমন স্ক্র্যাচ, ফাটল বা ডেন্টস আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন৷ এছাড়াও, সমস্ত বোতাম এবং পোর্ট সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। ফোনটি চালু করুন এবং টাচ স্ক্রিন, ক্যামেরা, স্পিকার এবং মাইক্রোফোন সহ এর সমস্ত ফাংশন পরীক্ষা করুন৷
৫.নেটওয়ার্ক যাচাই করুন
ফোনটিতে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে কিছুক্ষণ ব্রাউজিং এবং ইউটিউব চালিয়ে দেখবেন। যদি ফোনে নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করে কোনরকম ল্যাগ বা স্লো না হয় তাহলে ইন্টারনেট ঠিক আছে।
৬.ব্যাটারি লাইফ পরীক্ষা
ফোনটি আপনি ১ থেকে ২ ঘন্টা চালিয়ে দেখবেন। এতে কত পারসেন্ট ব্যাটারি চার্জ কমে তা নোটিশ করবেন । বিক্রেতাকে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করবেন এবং বর্তমান অবস্থা পরীক্ষা করবেন। ব্যাটারির ক্ষমতার অনুমান পেতে আপনি AccuBattery-এর মতো অ্যাপও ব্যবহার করতে পারেন।
৭.র্যাম ও স্টোরেজ চেক করুন
আপনি ফোনটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ চালানোর পরে ফোনের পারফরম্যান্স দেখে নিশ্চিত হবেন। যে এটি আপনার জন্য ঠিকঠাক আছে কিনা। বর্তমান সময়ে ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ এর নিচে পুরনো ফোন কেনা উচিত নয় । আইফোনের ক্ষেত্রে হিসাব টা আলাদা কিন্তু নরমাল ফোনের ক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ৪/৬৪ এর উপরের ফোন কিনতে হবে ।
৮.ক্যামেরা পরীক্ষা করুন
ফোনের ক্যামেরাটি বিভিন্ন আলোর পরিস্থিতিতে পরীক্ষা করুন এবং ছবির গুণমান পরীক্ষা করুন। সামনের ক্যামেরা এবং পিছনের ক্যামেরা ঠিকঠাক আছে কিনা তা অবশ্যই দেখে নিতে হবে।
৯.ওয়ারেন্টি এবং অরজিনাল বক্স
আপনি যে ফোনটি কিনতেছেন সেটি ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মেয়াদ আছে কিনা তা যাচাই করুন। সাথে ফোনের অরজিনাল বক্স চার্জার হেডফোন আছে কিনা তা যাচাই করুন।
১০.দামদার কিভাবে করবেন
আপনি যদি নিশ্চিত হইতে পারেন যে আপনি যে ফোনটি দেখতেছেন সেটি অফিশিয়াল ফোন সাথে অরজিনাল চার্জার বক্স এবং ওয়ারেন্টি আছে। সাথে আপনি সমস্ত কিছু চেক করার পরে ফোনটির বয়স অনুযায়ী মনে মনে একটি দাম নির্ধারণ করবেন। তারপর বিক্রেতা দাম চাওয়ার পরে আপনি একটু স্থির থাকবেন। আপনি এমন ভাব নিবেন যাতে মনে হয় আপনি ফোনটা কিনবেন না।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে বেশি তাড়াহুড়ো করা যাবে না। এতে করে আপনার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে। একটু স্থির থাকার পরে আপনি আপনার প্রত্যাশিত দামের থেকে কিছুটা কমিয়ে দোকানদারকে দাম বলবেন। দোকানদার তার বলা দাম থেকে কিছুটা কম কমিয়ে ফেলবে। তারপরে আপনি ফোনটি যে ত্রুটি গুলো আছে সেগুলোর দোকানদার বা বিক্রেতার সামনে বলবেন। এতে করে দোকানদারের বা বিক্রেতার মনোভাবটা পরিবর্তন হবে সে আরো কিছু টাকা কম বলবে। আপনি তখন আপনার প্রত্যাশিত দাম বলবেন।
যদি দোকানদার রাজি হয়ে যায় তাহলে ফোনটি নিয়ে নিবেন। অন্যথায় অন্য দোকান দেখেন অথবা অন্য কোন ফোন দেখেন। আপনাকে যে এই ফোনটি নিতেই হবে এরকম কোন কথা নাই আপনি যে কোন ফোন নিতে পারেন যেহেতু স্বাধীনতা আপনার রয়েছে। আশা করি আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
Real wonderful info can be found on weblog.Expand blog